খুলনার পাইকগাছায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শ্রেণিকক্ষ ভা’ড়া দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে স্কু’ল খুললেও শিক্ষার্থীরা এদিকে সেদিক ঘু’রে বাড়ি চলে গেছেন বলে অভি’যোগ পাওয়া গেছে।




জানা যায়, ক’রো’নায় প্র’কো’পে দেশের অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত উপজেলার কালুয়া গড়েরআবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় একটি রাস্তার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের থাকার জন্য বিদ্যালয়ের দু’টি ক’ক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়। বিদ্যালয়টিতে মোট ভবনই আছে অফিস ক’ক্ষ ছাড়া ৩টি। এর মধ্যে দু’টিই ভাড়া দেওয়া হয়ে যায়।







দুটি কক্ষে ৮ জন জন নারী-পুরুষ এক মাসেরও অধি’ক সময় থাকা খাওয়া করছে বলে স্থানীয়রা জানান। এদিকে নোং’রা ও অ’পরিচ্ছন্ন একটি কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থীদের রোববার ঠা’সাঠা’সি পরিবেশে পাঠদান ক’রানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মাসুদুল হক বলেন, আমার স্কুলের সভাপতি সলেমান সানা এ ব্যবস্থা করেছেন। গজালিয়া থেকে চৌমুহনী রাস্তার কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের থাকার স্থান না থাকায় স্কুলে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।






তবে সভাপতি সলেমান সানা অভি’যোগ অ’স্বীকার করে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাস ঢালী ও এলাকাবাসীর চা’পে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহার করতে দিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ঝংকর ঢালী বলেন, এক সপ্তাহ আগে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়টি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নি’র্দেশ দিয়ে এসেছিলাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান ভা’ড়া দেওয়ার এখতিয়ার কারও নেই। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে কারণ দর্শা’নোর জন্য বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর আইন’গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এই সংবাদ  বিশ্লেষণের কিছু আছে?  সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিচ্ছবি।